Supreme Court Decision 2025: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের মামলায় এবার শুরু হল নতুন নিয়ম। এর মধ্যেই দেশের উচ্চ আদালতে এই বিষয়ে মামলা জারি করা রয়েছে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এই মামলার আসল তথ্য জানা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা। আসল এমআর শিট না থাকার কারণে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হলে যোগ্য ব্যক্তিদেরও চাপ পরবে। সঠিক রায় ঘোষণার জন্য যে প্রমাণের প্রয়োজন, যা কোন মতেই হাতে আসছে না সুপ্রিম কোর্টের। অবশেষে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানতে হলে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
সোমবার ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে ভারতবর্ষের উচ্চ আদালতে বিচার হয় বিচারাধীন ২৬,০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল মামলার। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেও নতুন কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। আদালতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায় অর্থাৎ ২৬ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে বার করার সিদ্ধান্তই দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এর পক্ষ থেকে সরাসরি জানানো হয়েছে যে কলকাতা হাইকোর্টের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া হলে বিশাল ভাবে ভেঙে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। যার ফলে সমস্যার মুখে পড়বে রাজ্যের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী। র্যাঙ্ক জাম্প এবং প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে থাকলে এমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই।
Read More: ট্র্যাক্টর কিনতে টাকা দিচ্ছে মোদী প্রত্যেক কৃষককে! এই ভাবে আবেদন করুন।
Supreme Court Decision 2025
সিবিআই এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে চূড়ান্ত দুর্নীতির পক্ষে (Supreme Court Decision 2025) প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। আসল ও এমআর শীট পাওয়ার কোন রকম কোন সম্ভাবনাই নেই। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছেন এমন ব্যক্তিকেও নিযুক্ত করা হয়েছে এটাও জানা গেছে । সিবিআই ও এসএসসি পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রমাণ পর্যবেক্ষণ করার পরেও কোনো রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি উচ্চ আদালত।
নতুন করে পরীক্ষার হবে কিনা বিচারপতির পক্ষ থেকে সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি কতজন যোগ্য এবং কতজন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব কিনা তাও শোনা হয়েছে। কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ থেকে ২০১৬ সালের SSC নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেছে। তার পাশাপাশি সমস্ত ব্যক্তিদের ১২ শতাংশ সুদসহ প্রতি মাসের বেতন ফেরত দিতে হবে দাবি আদালতের।
উচ্চ আদালতের এই বিচারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম (Supreme Court Decision 2025) কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এখন এই মামলার সঠিক তথ্য কোনোভাবেই প্রকাশ্যে আসছে না। তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবেই এই নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে এবং কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই তারা সমর্থন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এখনো পর্যন্ত এই রায় মেনে নিলে একাধিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যদিয়ও এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেননি বিচারপ্রতি সঞ্জীব খান্না।
Supreme Court Decision 2025 | Click Here |